অবস্থান ও ডিজাইন

সিলেট কুলাউড়া মহাসড়কের পাশে ভাটেরা ইউনিয়ন সংলগ্নহোসেনপুর গ্রামের ৩৫ শতাংশ জায়গার উপর একটি ৫০ বেডের হাসপাতাল নির্মাণ পরিকল্পনা। দশ তলা ফাউন্ডেশন সমৃদ্ধ ৮৫০০ বর্গফুটের হাসপাতাল ভবনের আর্কিটেকচারাল এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইন সম্পন্ন করেছেন স্বনামধন্য কনস্ট্রাকশন ফার্ম “দি ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েটস” ৫১ উদ্দীপন, মিরাবাজার সিলেট।

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার আর্থিক ব্যবস্থাপনা

  • দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিক, বিশেষ করে ভাটেরা ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা সমূহ, সিলেট এবং মৌলভীবাজার জেলার ভাই বোনদের সদগায়ে জারিয়া হিসাবে দেওয়া অর্থই হবে এই প্রতিষ্ঠান গড়ার মূল চালিকাশক্তি।
  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ভাটেরা আহমদ এন্ড এসোসিয়েট ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে। ডাঃ আহমদ আল আমিন। সহকারী অধ্যাপক, সার্জারি বিভাগ, রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
  • ডাঃ সায়েফ আহমেদ তাহার পৈত্রিক বাড়ির ৩৫ ডেসিমেল ভুমি ভাটেরা জেনারেল হাসপাতালের নামে ওয়াকফ করে দেন। যাহা ইতিমধ্যে হাসপাতালের নামে রেজিস্ট্রি ও নামজারি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভূমি দাতা পরিবার ও তাহাঁর পরবর্তী বংশধর কিংবা কোন দাতা সদস্য ও তাহাঁর পরবর্তী বংশধর অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার কোন সুযোগ নাই। সকলেই সদগায়ে জারিয়া হিসাবে আখেরাতে বহুগুণে মহান আল্লাহর কাছ থেকে ফেরত পাবেন ইনশাআল্লাহ। সুতরাং আপনি, আপনার পরিবার বর্গ, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের পক্ষ থেকে সদগায়ে জারিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়ে নিজে অথবা পূর্বসূরী কারো নামে একটি কেবিনের নামফলক লিখাতে পারবেন, যাহা অনন্তকাল স্মৃতি ধারণ করে রাখবে। বাকি দাতা সদস্যদের নাম দাতা লিস্টে আজীবন তালিকাভুক্ত থাকবে।
  • প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রয়োজন হলে ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কর্জে হাসানা গ্রহণ করা হবে, যাহা পরবর্তীতে হাসপাতাল ফান্ড থেকে পরিশোধ করা হবে।

হাসপাতাল পরিচালনায় আর্থিক ব্যবস্থাপনা

সচ্ছল এবং অসচ্ছল সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য এই প্রতিষ্ঠান দায়বদ্ধ থাকবে। স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা প্রদান এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। সচ্ছল ব্যক্তিরাও কম খরচে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা পাবেন। তাদের দেওয়া চিকিৎসা ফি দ্বারা হাসপাতালের ব্যয় সংকুলান হবে। হাসপাতাল পরিচালনার অতিরিক্ত অর্থ হাসপাতালের উন্নয়ন, গরীব রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করা যাবে। এই প্রতিষ্ঠানে যারা রোগী দেখবেন, অপারেশন করবেন, বিভিন্ন ধরনের সেবা দিবেন তারা অন্য প্রতিষ্ঠানে থেকে মানবিক কারণে কম ফি নিবেন, এটা আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। কিন্তু সার্বক্ষণিক ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারী এই প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করবেন তাদেরকে যথাযথ বেতন ভাতা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কেবিন ভাড়া, অপারেশন চার্জ, সার্ভিস চার্জ, ঔষধ এর দাম, ইত্যাদির ক্ষেত্রে ন্যূনতম বিল নেয়া হবে যাতে হাসপাতাল পরিচালনার খরচের ব্যবস্থা হয়। সামর্থ্যবানরা ইচ্ছা করলে অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন। গরীব মানুষদের ফ্রি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য একটি যাকাত ফান্ড তৈরি করা হবে, যা থেকে তাদেরকে সম্ভাব্য ফ্রি চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও হাসপাতাল পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ ফান্ড তৈরি করা হবে। দেশী-বিদেশী দাতাদের মাধ্যমে এই ফান্ড সমৃদ্ধ করা হবে।

আর্থিক স্বচ্ছতা

  • সব ধরনের লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদন করা হবে।
  • ব্যাংকে টাকা জমা দানকারী প্রত্যেক দাতা সদস্য কে যথাযথ রিসিট প্রদান করা হবে।
  • সব ধরনের খরচের ভাউচার মেন্টেন করা হবে।
  • দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি যৌথভাবে ব্যাংক লেনদেন পরিচালনা করবেন।
  • ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকা হবে। আর্থিক লেনদেনের সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বিধানের লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি সর্বাবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন। এক্ষেত্রে তারা দায়বদ্ধ থাকবেন। কমিটির সদস্যরা হলেন, ১) শেখ রাজা মিয়া তালুকদার (যুক্তরাষ্ট্র) ২) সাইফুর রহমান সুমন (যুক্তরাজ্য) ৩) ডাঃ আহমদ আল আমিন (বাংলাদেশ) ৪) আহমদ সামিন জাওয়াদ (কানাডা) ৫) আহমদ আল হাদী (বাংলাদেশ)।

আমরা আশা করি, ভাটেরা চ্যারিটি জেনারেল হাসপাতাল হবে আগামী প্রজন্মের সারা বাংলাদেশের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশী ভাই-বোনদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, এই প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত হস্তে দান করে সদগায়ে জারিয়ার সওয়াব হাসিল করুন এবং মানবতার কল্যাণে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ার জন্য আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।

আল্লাহ আমাদের কবুল করুন, আমিন।
ডাঃ সায়েফ আহমেদ
টরেন্টো, কানাডা ( +1647-782-9738)