ভাটেরা জেনারেল হাসপাতালের সর্বশেষ কাজের আপডেটঃ ১৬ অক্টোবর ২০২২ইং

সম্মানিত সুধী, ভাই ও বোনেরা
আসসালামু আলাইকুম
আমাদের সকলের শ্রদ্ধাভাজন জনাব শাহ ওয়াছির আলী তার ওয়াদাকৃত ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে মহান মাবুদের কাছে চলে গেছেন। আরো অনেকেই তাদের ওয়াদাকৃত সমস্ত টাকা পরিশোধ করেছেন, আর এই বিশাল সাদাকায়ে জারিয়ার প্রতিদান সকলেই পেতে থাকবেন অনন্তকাল ব্যাপী, যতদিন এই পৃথিবী বেঁচে থাকবে। এই কদিনের মধ্যে আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন চুনু চাচা, হাসপাতালের পুবের বাড়ির মনিরের চাচা, ছোট বেলায় ঘুম থেকে উঠলেই যাদের সাথে আমার দেখা হতো, আমাদের বাপ-দাদারা দুই জেনারেশন ইতিমধ্যে পৃথিবী থেকে চলে গেছেন মহান প্রভুর সান্নিধ্যে, আমরা কেউই একদিন থাকবো না, আমাদের কৃতকর্ম বেঁচে থাকবে যুগের পর যুগ, কালের পর কাল, শতাব্দীর পর শতাব্দী।”মানুষ মানুষের জন্য”। আমাদের কর্তব্য এবং দায়িত্ববোধের তাগিদে এলাকার মানুষের জন্য হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল প্রায় দেড় বছর আগে। বছর দেড়েক আগে কোন এক শুভ মুহূর্তে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় আপনারা যারা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছিলেন। ইথারে ইথারে তাদের নাম অনুরণিত হচ্ছে। আমরা মাঝে মাঝে স্মরণ করিয়ে দেই। হাসপাতাল ভবনের তিন তলার ইটের গাঁথুনি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই হাসপাতাল ভবন আপনাদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে- মহান প্রভুর ডাক আসার আগে প্রতিশ্রুতি পূরণ আমাদের সকলের কর্তব্য। তিলে তিলে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান সময়ের ব্যবধানে শেষ হবে ইনশাআল্লাহ। হাসপাতালের ফলকে এবং মহান প্রভুর খাতায় আপনাদের নাম চিরভাস্বর হয়ে লেখা থাকবে। এখন শেষ পর্যায়ে ফিনিশিং-এর কাজ, ইলেকট্রিক, প্লাম্বিং, টাইলস, থাই, দরজা-জানালা, অক্সিজেন লাইন, সাকশন লাইন, পিএবিএক্স, কম্পিউটার সফটওয়্যার সংযোজন, ইন্টার্নাল ডেকোরেশন, অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ, ডেলিভারি রুম, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যন্ত্রপাতি, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি সহ আনুষাঙ্গিক কাজে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া বিশাল এই কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করা সম্ভব নয়। আসুন মানবতার সেবায় আমরা এগিয়ে যাই তীব্রগতিতে। আল্লাহ আমাদের সকল প্রচেষ্টা কবুল করুন। শুভেচ্ছান্তে
আপনাদের একান্ত প্রিয়
ডাঃ সায়েফ
১৬/১০/২০২২